মোঃআজিজুর বিশ্বাস,স্টাফ রিপোর্টার নড়াইল:  নড়াইল জেলার লোহাগড়া পৌরসভায় খাদ্য অধিদপ্তর পরিচালিত ওএমএস দোকানে সরকারি নিয়মে মাথাপিছু সবোর্চ পাঁচ কেজি চাল ,ও আটা,লাইনে দাড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ থাকলেও লোহাগড়া বাজারের ডিলার মোঃ মোহসীন মোল্ল্যা কে ভিন্ন নিয়মে অনিয়ম করে চাল,আটা দিতে দেখা গেছে।

সরেজমিনে গিয়ে ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সপ্তাহে ৫ দিন এই মাল গুলো দেওয়া হয়, লোহাগড়া পৌরসভায় ৩ জন ডিলার রয়েছেন, প্রতি ডিলার কে চাল কেজি প্রতি ৩০/ টাকা ও আটা,কেজি প্রতি ১৮/ টাকা করে টাকা নিয়ে মাল দেওয়ার কথা, কিন্তু সেখানে মোহসীন মোল্ল্যার দোকানে গিয়ে দেখা যায় প্রতি জন কে ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি করে জাম দিয়ে চাল,আটা নিতে হচ্ছে, তাকে করে সাধারণ জনগণের বেশি কিছু টাকা ডোনেশন যাচ্ছে বলে মনে করছেন তারা।

এবিষয়ে মোহসীন মোল্ল্যার সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমি মানুষের ভিড়াভিড় বেশি হওয়ার কারনে এই দুই শত লোকের ফটোকপি নিয়ে চাল,আটা দিচ্ছি,ও একজন লোক একদিন পর একদিন মাল তুলতে পারবেন। তখন তাকে ওই ফটোকপি দেওয়ার নিয়মের কথা লোহাগড়া খাদ্য অধিদপ্তর অফিস জানে নাকি জানতে চাইলে তিনি বলেন অফিসের লোক এসে দেখে গেছে ফটোকপি নিতে, এদিকে আরও যে দুইজন ডিলার লোহাগড়া পৌরসভায় রয়েছে তারা কোনো ফটোকপি নিচ্ছেন না বলে জানান ভুক্তভোগীরা।

এসময় উপস্থিত কয়েকজন ভুক্তভোগী বলেন আমাদের একটা ফটোকপি করতে ৫/টাকা করে লাগে,কেনো ডিলার আমাদের এই বাড়তি টাকা লাগাচ্ছে, এমনিতেই সকাল থেকে রোদে পুড়ে লাইনে দাড়িয়ে চাল, আটা কিনতে হয়। ফটোকপির এই নিয়ম বন্ধ করা হোক। এবিষয়ে লোহাগড়া উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান আলী”র কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন অফিসের কোনো নিয়মে নেই যে ফটোকপি নিতে হবে, মোহসীন মোল্ল্যা যদি নিজে কোনো আইন বানান তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।

 

 

কলমকথা/ বিথী